top of page

বারাকোয়া

  • Writer: Abhijit Chakraborty
    Abhijit Chakraborty
  • Jun 14, 2020
  • 6 min read

-"ঘুম থেকে ওঠা হলো? সকাল নটা নাগাদ ফোন করেছিলাম, রিং হয়ে গেল। বুঝলাম ম্যাডামের সকাল হয় নি এখনো" - ঘুম থেকে উঠে দিনের প্রথম ফোনে বাবার গলা টা শুনলে বিষন্ন মেঘলা সকাল টা একটু ভালো লাগে।


আড়াই মাস হতে চললো, গৃহবন্দি। সকালের ঘুমটা ভাঙছে প্রায় দশটা, তারপর নিজের হাতে নিজের খাবার জোগাড় করা , খুটখাট মোবাইল ঘাটা আর সারাদিন ধরে কিছুই ভালো না লাগার অনুভূতি নিয়ে রাত তিনটের পর শুতে যাওয়া। রোজকার ব্যস্ত জীবনের আনন্দ পেতে অভ্যস্ত বৃন্দা একটু একটু করে বিষণ্ণতার অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার পথে - লকডাউনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায়।


বৃন্দা মজুমদার। নাহ্ কোনো ডানা কাটা পরী নয়। বরং  তার থেকে কয়েক যোজন দূরে থাকা এক সাধারণ মেয়ের উদাহরণ - বৃন্দা। আত্মবিশ্বাস আর নিজের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার জেদ , শহরতলীর লাজুক মেয়েটি কে কর্পোরেট জগতের কূটনৈতিক খেলার সাথে বেশ সরগড় করে তুলেছে। স্বপ্ন বিক্রি করা ওর নেশা ও পেশা। নামকরা বহুজাগতিক ভ্রমণ সংস্থার কেউকেটা ভাইস প্রেসিডেন্ট। মধ্যবিত্ত বাঙালির সোশ্যাল স্ট্যাটাসে পায়রার পালকের সুড়সুড়ি আর ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডে গৌরী সেনের তহবিল - 'বৃন্দা ফেরিওয়ালা'র জাদুমন্ত্র। কাউকে গ্রীস - সান্তরিনির নীলের নেশাতে আবার কাউকে ফুয়েত - কাবি'র রঙীন রাতের নেশায় আচ্ছন্ন করিয়ে ফেলাটা এখন জলভাত । মাঝে মাঝে অবশ্য সত্যিকারের কিছু ভ্রমণ পিপাসু মানুষের সন্ধান পায় আর তখন তাঁদের সাথে নিজের স্বপ্নপূরণের নেশা তে বেড়িয়ে পরে - কখনো প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ‌ভেসে থাকা দেশ টুভালু 'র সূর্যাস্তের প্রেমে আবার কখনো রাতের আকাশে মেরুজ্যোতি দেখার আকর্ষণে ফিনল্যান্ডের ল্যাপলান্ড।


আদুরে মেয়ের পায়ের তলার সর্ষের যোগান টা বাবা ই দিয়েছিল ছোটবেলা থেকে, ঘুম পাড়ানোর গল্পের মধ্যে দিয়ে। হিমালয় কে খুব কাছ থেকে দেখার অপার্থিব আনন্দের সাথে জঙ্গলের রোমান্টিকতা আর সমুদ্রের উশৃঙ্খল অনুভবের নেশার সাথে একটু একটু করে পরিচিতি কলেজবেলায়। নেশা কে পেশা করার বুদ্ধিটা বাবার ই ছিল। মায়ের দেখা অশনি সংকেত কে অগ্রাহ্য করে মেয়ে ট্যুরিষ্ট গাইডের চাকরি কে ভালোবেসে ফেলল।


মা - বাবার ইচ্ছে কে সন্মান আর কলেজ জীবনে দেওয়া কথাকে ফেরাতে না পেরে সুজয়ের সাথে সাত পাঁক টাও সেরে ফেলেছিল । কিন্তু গ্রহের ফের, মায়ের অশনি সংকেত দেখা টা বৃথা যায় নি। বছর দুয়েক বাদেই নিজের জীবনের স্বাধীনতা অন্যের কাছ থেকে ফিরিয়ে নেবার পাকা বন্দোবস্ত ও করে ফেলতে হলো। অন্তর্মুখী, লাজুক মেয়েটি ও ধীরে ধীরে স্বাধীন, বাস্তববাদী আর শক্তিশালী হলে উঠলো আশে পাশের ক্ষুধার্ত পুরুষ নেকড়ে গুলোর সাথে চোখে চোখ রেখে যুদ্ধ করতে করতে।


-"অফিস কবে থেকে খুলবে কিছু জানতে পেলি? "

-" না বাবা, মনে হচ্ছে আরো মাস দুয়েক। খুলেই বা কি হবে? কেউ কি আর এখন ঘুরতে যাবে? বাদ দাও, অফিসের কথা। "


চোখে দেখা শত্রুর সাথে যুদ্ধ করা যায় কিন্তু ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ তো ছায়ার সাথে যুদ্ধ। আগামী একবছরের মধ্যেও আর কাউকে প্লেনে তোলা যাবে কি না সন্দেহ। চাকরির হারানোর চিন্তা এরমধ্যেই কালো মেঘের মতন ছেয়ে থাকছে সারা দিন। এর মধ্যে রণিতা, অনিন্দিতা দের পোস্ট করা ছবি গুলো দেখলে আরো মাথা টা গরম হচ্ছে। স্বামী সোহাগের আদিখ্যেতা ছবি গুলো নিজেদের মধ্যেই রাখতে পারে তো বাবা! বউকে রান্না করে খাওয়াচ্ছে, বাসন মেজে দিচ্ছে , ভালোবেসে হয়তো বউয়ের অন্তর্বাস ও কেঁচে দিচ্ছে। আবেগ টা চার দেওয়ালের মধ্যে থাকলেই তো পারতো, পাড়া প্রতিবেশী দের জানিয়ে মেকি সম্পর্কের আস্ফালন গুলো আজকাল আর সহ্য হয় না বৃন্দার।


বাবা - মা চিরকাল থাকে না আর তাই ওনাদের অবর্তমানে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে আর একবার বিয়ের কথা ভাবার অনেক অনুনয় মুহূর্তের মধ্যে প্রত্যাখ্যান হয়েছে ‌। বিয়ে - ভালোবাসা, এই শব্দ গুলো এখন শুনলেই বৃন্দার সারা শরীর চিড়বিড় করে ওঠে। বৃন্দা বিশ্বাস করে যে 'ভালোবাসা' একটা অলীক স্বপ্ন আর বিয়ের পর ভালোবাসা একটি অবাস্তব ভাবনা। বিয়েটা একটি দৈনন্দিন লেনদেনের সম্পর্ক। যতদিন ওই লেনদেনের প্রয়োজন আছে ততদিন ওই সম্পর্কের অস্তিত্ব। লেনদেনের কারণ শরীর ও হতে পারে, সন্তানের স্কুলের পেরেন্টস টিচার মিটিং ও হতে পারে।


বৃন্দার ভালোবাসা প্রকৃতির সাজ বদলে। কাঞ্চনজঙ্ঘার উপর পড়া সূর্যের প্রথম গোলাপি কিরণ, সূর্যাস্তের কমলা আলোয় সেরেঙ্গেটির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে মারা নদী পেরোনো হাজার হাজার সিংহের মিছিল, ষোলোকলা পূর্ণ চাঁদের আলোয় বয়ে চলা চন্দ্রা নদীর ধারে জিসপা উপত্যকা - প্রকৃতির প্রেমে উপচে ওঠা বাঁধনহারা সমর্পণ।


-"অফিস খুলতে দেরি আছে যখন, তখন কিছুদিন আমাদের এখানে এসে থাক না। তোর মায়ের ভালো লাগবে। "

-"কেন তোমার ভালো লাগবে না? "


মানুষ তার নিজের ভালোলাগার কারণ টা কেন যে সরাসরি বলতে পারে না? নিজের মেয়ের কাছেও লুকোচরি! সকালের ভালোলাগাটা আবার তিতকুটে হতে বেশিক্ষণ সময় নিল না। সুজয়ে'র সাথে সম্পর্কের শেষ দিনগুলোও একই রকম। যে কোনো ছোটোখাটো বিষয়েই লঙ্কাকাণ্ড । কোনো ব্যাপারেই সহমত নেই - দুজনেই দুজনের দাবি তে অটুট।  কলেজে পড়ার সময়ের একসাথে দেখা স্বপ্নগুলো ধূসর অ্যালবামের হারিয়ে যাওয়া ছবি গুলোর মতন - ইচ্ছে থাকলেও কেউই ধুলো সরিয়ে অ্যালবাম খুলতে রাজি নয়। ব্যস্ত কলকাতার রাজপথে হটাৎ আসা কালবৈশাখী বৃষ্টিতে সপসপে ভেজা উদ্দাম প্রেম তখন রাতের অন্ধকারে মুখ লুকিয়ে প্রায়শ্চিত্তের দিন গুনছে। একসাথে হাতে হাত মিলিয়ে চলার প্রতিশ্রুতি গুলো দুজনেই ভুলতে চাইছে প্রাণপণ। একে অন্যকে বোঝার জন্যে যে সময়টা দিতে হয়, তার খুব অভাব। সুজয় চায় নি বিয়েটার থেকে বেরিয়ে আসতে কিন্তু বৃন্দার পক্ষে রোজ এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অভিনয় করা সম্ভব ছিল না। জীবনের অনেক টা রাস্তা বাকি।  সুজয়ের নতুন করে সংসার পাতার মধ্যে নিজেকে অন্তরায় হিসেবে ভেবে, সুজয়কে মুক্তি দেওয়ার প্রাধান্যের কাছে নিজের ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা অনেক ফিকে। বাবা - মা, সুজয়, বন্ধু - বান্ধব, শুভানুধ্যায়ীদের কারুর কথা শোনা বৃন্দার পক্ষে সম্ভব ছিল না। অর্জুনের চোখ তখন শুধু সুজয়ের মুক্তিতে।


-"আচ্ছা তোর ইচ্ছে হলে আসিস, কোনো জোর করছি না , আর এটাও জানি তোর উপর জোর করে লাভ নেই ।"


বৃন্দা মনে মনে হাসে। ওর জীবনে ওর উপর জোর করার কোনো মানুষ নেই। জোর টা তো অধিকার থেকে আসে আর ওই তো কাউকে সেই অধিকার দেয় নি। অথচ মনে মনে চেয়েছিল, কেউ অন্তত ওর উপর একটু জোর করুক। স্বাধীনতার দামটা একটু বেশিই হয়ে গেছে।


-"চিন্তা করো না বাবা। আমি ভালো আছি। মাকে বোলো আমি কিছুদিন বাদে যাব। "

-"আচ্ছা রে। বলে দেব। সাবধানে থাকিস। "


ফোনটা রাখতে গিয়ে কেন জানি না মনে হলো, বাবা অন্য কিছু বোধহয় বলার জন্যে ফোন করেছিল।


-"তুমি কি আর কিছু বলতে?"

-" হ্যাঁ মানে। ওই একটা কথা ছিল। পরে বললেও চলবে।"


নিজের উপর খুব রাগ হচ্ছে । বাবা মাকেও সাত পাঁচ ভেবে নিজের মেয়ের সাথে কথা বলতে হচ্ছে। বাবা তো সামান্য বাড়ি যাবার কথা বলেছিল।


-"সরি বাবা। আমার তোমাকে ওই ভাবে কথাটা বলা উচিৎ হয় নি। প্লিজ বলো, কি বলবে। "

-"না মানে, তোর সাথে কি সুজয়ের এর মধ্যে কোনো কথা হয়েছে?"

- "না তো। আর কেনই বা কথা হবে ? তুমি তো জানো আমি কোনো যোগাযোগ রাখতে চাই না। কিন্তু তুমি হটাৎ এটা জিজ্ঞাসা করলে কেন?"

- " ওই টিভি তে দেখছিলাম, ওখানে খুব গন্ডগোল হচ্ছে, তাই ভাবলাম সব ঠিক আছে তো? "


বছর সাতেক হলো, সুজয় মার্কিন প্রবাসী । কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সুযোগ, দৈনন্দিন জীবন যাপনের সুযোগ সুবিধা আর সর্বোপরি পুরনো ক্ষত সারানোর জন্য যত দূরে থাকা যায়। বছরে নিয়ম করে পাঁচদিনের যোগাযোগ এখন। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টানোর দিন, এক জোড়া জন্মদিন, নববর্ষ আর বিজয়ার শুকনো শুভেচ্ছা - এটাও এক রকম দায়িত্ব পালনের মতন। মাঝে মাঝে শুধু ব্যতিক্রম ঘটে যদি বৃন্দা বা সুজয় দুজনের কেউই কোনো অপ্রচলিত জায়গায় ঘুরতে যায়। অজানা জায়গার অচেনা সৌন্দর্য্য আর নির্বাক ভালোলাগাকে ভাগ করে নেয় দুজনে। হাওয়াই দ্বীপের সবুজ বালির 'পাপাকলেয়া' সৈকতের নির্জনতা অথবা লেহ উপত্যকার রুক্ষ মরুভূমিতে হেমিস গুম্ফার অশরীরী শান্তির অনুভূতি - হারিয়ে যাওয়া সম্পর্কের একমাত্র সরু সুতো।


-"চিন্তা করো না বাবা। আমরা সুবিধাবাদী মধ্যবিত্ত। যে কোনো গন্ডগোলের মধ্যে নিজেদের কে দারুণ ভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পারি। মাঝে মাঝে একটু বিপ্লবী হবার অভিনয় টাও ফাটাফাটি করি।"

-" তোর সবকিছুতেই ঠোঁটকাটা উত্তর। "

-" আরে আমি কি খারাপ বললাম ! সাদা - কালোর লড়াইয়ে আমরা সবসময় নির্যাতিত‌ শ্রেণীর পক্ষে। আক্রোশে গরম রক্ত টগবগ করে ফুটছে অথচ সদ্য জন্মানো মেয়ের গায়ের রং ফর্সা না হলে শুভানুধ্যায়ীদের স্বান্তনা আসে, ভালো করে তেল মেখে রোদে ফেলে রাখলে রং ফিরবে। বর্ণবৈষম্যের তীব্র বিরোধিতায় সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় তুলতে আমরা পিছপা নই কিন্তু ধর্ম, জাত আর অর্থের ভিত্তি তে সমাজের কাজের মান ঠিক করি চুপিসারে । "


-"আচ্ছা রে মা, এখন রাখি? তোর মা'কে খেতে দিতে হবে। "

-"মা এখন কেমন আছে বাবা?"


নিজের উপর ঘেন্না লাগছে বৃন্দার। বাবার সাথে এতবার কথা বলে , একবারও মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করেনি বিগত তিনমাসে। অবশ্য জিজ্ঞাসা করেও কি লাভ ! নতুন কিছু তো আর জানার নেই । প্রায় দু - বছর হতে চললো, মা বিছানায়।  সেরিব্রাল স্ট্রোকে ডান দিকটা অচল। ফিজিওথেরাপির উপর ভরসা যদি কোনোদিন আবার উঠে বসতে পারে। অক্লান্ত সাধনায় বাবা সেবা করে চলেছে মায়ের। নির্বাক চোখে চোখ চেয়ে গল্প বলে চারবেলা নিজের হাতে খাইয়ে দেয়। বৃন্দা একবার বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিল -' তুমি কি মাকে সত্যিকারের এত ভালোবাসো না শুধু মমতা আর দায়িত্ববোধ?' । বাবার উত্তর টা এখনো কানে বাজে - ' ভালোবাসা কি সেটা আমি কোনোদিন খুঁজতে যাই নি রে মা, আর তোর মায়ের থেকে আমি কি পেলাম সেটাও খুঁজি নি।  পাওয়ার থেকে দেবার আনন্দে ই এত মশগুল ছিলাম যে তোর মায়ের অভিযোগ গুলোও শুনতে পাই নি। '


-"আমি একদমই ভুলে গেছি রে মা। তোকে ভালো খবরটাই দেওয়া হয় নি। তনিমা এখন একটু একটু করে এখন বসতে পারছে। ডাক্তারবাবু বলেছে বছর খানেকের মধ্যে হাঁটতেও পারবে। "

-" কি বলছো বাবা! এতো খুব খুব ভালো খবর।"

-" তোর মায়ের মনের জোর আর ভগবানের আশীর্বাদ। আমি তোর মাকে বলেছি তুই আমাদের কে নিয়ে আবার ঘুরতে যাবি। তুই একটা ভালো করে প্ল্যান কর। সামনের বছর জমিয়ে একটা ঘুরতে যাওয়ার! তনিমার অনেক দিনের ইচ্ছে গোয়া যাবে। "

-" বাবা, তুমি একদম চিন্তা করো না। সব ব্যবস্থা আমি করে দেব। সেজো মাসী, বড় মামা, রাঙা জেঠু সবাই কে নিয়ে একদম জমিয়ে দেব। এখন রাখছি, পরে কথা বলছি, মায়ের খাবার দেরি হয়ে যাচ্ছে। "


গলায় আনন্দের কান্না টা ঠেসে ধরেছে, চোখের পাতায় জমে থাকা জলের তোড়। ভেজা চোখে ফোনটা শেষ করে, হোয়াটসঅ্যাপে ভিড় করা মেসেজের মধ্যে থেকে সুজয়ের শেষ মেসেজ টা খুঁজে বার করলো। সবুজ পাহাড়ের কোলে সেজে ওঠা কিউবার প্রথম শহর 'বারাকোয়া' থেকে পাঠানো সুজয়ের সেলফি । আবছা দৃষ্টিতে, আনমনা আবেগে ছবিটা দেখতে বেশ ভালো লাগছে অনেকদিন বাদে। পিছনে ঘন নীল আকাশ আর সমুদ্রের মিশে যাওয়ার প্রেক্ষাপট। লাল জংলা বুশ জামাতে সুজয় কে বেশ সুন্দর লাগছে। আগের থেকে বেশ মোটা ও হয়েছে। চেহারা তে একটা বেশ ভালো থাকার জেল্লা ও পরিষ্কার। সুজয় নিশ্চয়ই ভালো আছে।


এখন সুজয়ের মাঝরাত । ওর ও কি রাতে ঘুম আসে না? নাহ্ থাক, অসম্পূর্ণ মেসেজ টা শেষ না করেই ফোনটা বন্ধ করে বৃন্দা বারান্দায়।  বারান্দার সামনে আম্ফানে ভেঙে পড়া বকুল গাছটায় কোকিল টাও আসে না আজকাল । আড়াই মাস হতে চললো গাড়িটা নিয়ে বেরোনো হয় নি। এখন বেরোলে সন্ধ্যের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারবে।


-"বাবা, রাণু দিকে আমার জন্যে রান্না করতে বলো।"


কলকাতায় বর্ষা ঢুকেছে গতকাল!

Comments


©2020 by Hizibizi Online

bottom of page